উখিয়ার বড়ুয়া পাড়া গ্রামে দীর্ঘদিনের জমি বিরোধের জেরে এক সংখ্যালঘুর বসতভিটেতে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভোরে ৫০-৬০ জনের একদল দুর্বৃত্ত বৃদ্ধ পরিমল বড়ুয়ার ঘরে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং জমি দখলের চেষ্টা করে। হামলার ঘটনায় বৃদ্ধ পরিমল বড়ুয়া (৭৫), তার স্ত্রী শাপুলু বড়ুয়া (৬২) এবং নাতনী প্রজ্ঞা বড়ুয়া (১৩) আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরবেলা যখন পরিমল বড়ুয়ার পরিবার ঘুমিয়ে ছিল, তখন সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঘরের টিনের বেড়া এবং খামার ভেঙে ফেলে এবং ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। পরিমল বড়ুয়ার পরিবারের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মারধর করা হয়। এ সময় পরিমল বড়ুয়া, তার স্ত্রী ও নাতনী আহত হন।
ভিডিও লিংক : https://fb.watch/v8vfciL7dU/
পরিমল বড়ুয়ার অভিযোগ, হরিণমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। তাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে আব্দুল মালেক এই হামলা করে বলে অভিযোগ। একই সাথে, হামলাকারীরা তার পুত্রবধূ মিল্কি বড়ুয়াকে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বিধু বালা বড়ুয়া জানান, “হায়নার মতো দুর্বৃত্তরা গ্রামের উপর আক্রমণ চালায়, এবং আমরা এগিয়ে গেলে তারা আমাদেরও অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে।” এ ঘটনার পর পুরো বড়ুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হামলার পর স্থানীয় বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ, প্রজ্ঞাবোধি মহাথের এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মেধু কুমার বড়ুয়া, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এই ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানান। তারা দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন।
উখিয়া থানায় এ ঘটনায় প্রভাষ বড়ুয়া বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক দাবি করেন যে, জমি তার রেজিস্ট্রিকৃত এবং তিনি শুধু তার জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত মামলাও বর্তমানে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।