গয়ার মহাবোধি মন্দিরের গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে থেকে একজন ভিক্ষু নগদ গুনছেন এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে ভিক্ষুটি বিহারের বোধগয়ার মহাবোধি মন্দিরের দান বাক্স থেকে অর্থ চুরি করেছেন।
জি নিউজ তাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ভাইরাল ভিডিও আপলোড করেছে। ভিডিও বিবরণে বলা হয়েছে, “বোধগয়া মন্দিরে চুরির সিসিটিভি ভিডিও সামনে এসেছে। এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মহাবোধি মন্দির থেকে টাকা চুরি করেছিল। । “
এছাড়া ইন্ডিয়া টিভি সহ ভারতের কয়েকটি টিভি ও সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যাপক শেয়ার করা হয়েছে।
ভারতের বিহার পুলিশ এই বিষয় অনুসন্ধান করে বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছি, ভিডিওটি মিথ্যা। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভিডিওটি কয়েক মাস আগে শীতের মৌসুমে তোলা হয়েছিল। গয়ার মহাবোধি মন্দিরের বুদ্ধের মূর্তিটির জন্য ভক্তরা চীবর ( বৌদ্ধ সন্যাসীদের পরিদেয় বস্ত্র) এবং যে ভিক্ষুটি এটি বুদ্ধের শরীরে পরিধান করান তাকে অল্প পরিমাণ অর্থ ভক্তরা দান করে। যা তার জন্য। মন্দিরে দেওয়া দান দান বাক্সে যায়, যা বন্ধ এবং নিরাপদ থাকে। ভিডিওতে, বিটিএমসি সদস্য ভিক্ষু ধম্মিকাকে নগদ গুনতে দেখা যাচ্ছে এবং চিবর (বস্ত্র বা কাপড়ের টুকরো) অর্পণের জন্য তাকে দেওয়া পরিমাণ নিজের কাছে রাখতে দেখা যাচ্ছে। চুরির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
গয়া পুলিশ আরও আরো বলছে যে, “এখন পর্যন্ত তদন্ত অনুসারে, এই খবর এবং ভাইরাল ভিডিওটি মিথ্যা।”
বিটিএমসি-র সদস্য ডঃ অরবিন্দ কুমার সিং বলেন, “ প্রায় ছয় মাস আগে অপর একজন ভিক্ষু এই ভাইরাল ভিডিওটি রেকর্ড করেছিল। কয়েকদিন আগে ধম্মিকার সাথে তার ঝগড়া হয় এবং ধম্মিকাকে হেয় করার জন্য সেই ভিক্ষুটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। বিটিএমসি কর্তৃপক্ষ ধম্মিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না কারণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
স্বপ্ন এবং দায়িত্ববোধ থেকে ধম্মইনফো-ডট-কম এর সূচনা। ২০১১ সালে বাংলায় প্রথম অনলাইন বৌদ্ধ সংবাদ পোর্টাল হিসেবে ধম্মইনফো যাত্রা শুরু করে, যা বৌদ্ধধর্ম, ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং নীতিমালা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রচারে পাঠকের ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০১২ সালে রামুতে মৌলবাদী হামলার পর এটি একটি শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তর বাংলা ভাষী বৌদ্ধদের কাছে পরিচিতি লাভ করে। যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে ২০১৮ সালে সাইটটি প্রকাশনা বন্ধ করা হয়, ২০২৪ সালে ধম্মবিরীয় ভিক্ষুর নেতৃত্বে এটি আবার চালু হলে ধম্মইনফো বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে সংবাদ, ঐতিহাসিক নিদর্শন, মণিষীদের জীবনী প্রকাশ, এবং ধর্মীয় উন্নয়নে কাজ করছে।