ধম্মইনফোধম্মইনফোধম্মইনফো
Font ResizerAa
  • গৌতম বুদ্ধের জীবনী
  • সর্দ্ধম নীতি ও শিক্ষা
  • ইতিহাস
  • সংস্কৃতি
  • সাহিত্য
  • জীবনী
  • প্রবন্ধ
  • সংবাদ
আপনি অধ্যায়ন করছেন: পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির: বাঙালি বৌদ্ধ সমাজের আলোকবর্তিকা
Share
ধম্মইনফোধম্মইনফো
Font ResizerAa
Search
  • গৌতম বুদ্ধের জীবনী
  • সর্দ্ধম নীতি ও শিক্ষা
  • ইতিহাস
  • সংস্কৃতি
  • সাহিত্য
  • জীবনী
  • প্রবন্ধ
  • সংবাদ
Have an existing account? সাইন ইন
আমাদের অনুসরণ করুন
© 2022 Foxiz News Network. Ruby Design Company. All Rights Reserved.
ধম্মইনফো > Blog > জীবনী > পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির: বাঙালি বৌদ্ধ সমাজের আলোকবর্তিকা
জীবনী

পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির: বাঙালি বৌদ্ধ সমাজের আলোকবর্তিকা

ধম্মবিরীয়
সর্বশেষ আপডেট: October 23, 2024 3:08 am
ধম্মবিরীয় - প্রকাশক ও সম্পাদক, ধম্মইনফো
Share
SHARE

পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির, একজন বিশিষ্ট বৌদ্ধ ভিক্ষু, দার্শনিক এবং পণ্ডিত, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির ধর্মপুর গ্রামে ১৯০১ সালের ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন হরচন্দ্র বড়ুয়া এবং মাতা প্রাণেশ্বরী বড়ুয়া। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বড়। শৈশব থেকেই ধর্ম ও শিক্ষার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। মাত্র তের বছর বয়সে পিতার মৃত্যুর পর, তাঁর জীবনের একটি বিশেষ মোড় আসে, যা তাঁকে ধর্মের পথে অগ্রসর করে।

Contents
দীক্ষা ও শিক্ষা জীবনশ্রীলঙ্কায় শিক্ষা ও স্বর্ণপদক প্রাপ্তিযুদ্ধ-পরবর্তী মানবসেবাসাহিত্য ও অনুবাদ কর্মে অবদানশিক্ষাক্ষেত্রে অবদান

দীক্ষা ও শিক্ষা জীবন

১৯১৪ সালের ২৬ জুন, পিতার শ্রাদ্ধদিনেই, পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির মহাত্নাধর্মকথিক মহাস্থবির মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে তিনি জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেন। তাঁর গুরু তাঁকে রাউজানের বিনাজুরী গ্রামের শ্মশান বিহারে নিয়ে যান, যেখানে তিনি ধর্মশিক্ষা ও সাধনা শুরু করেন। সাধারণ শিক্ষার জন্য তিনি সোনাইমুখী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং পাশাপাশি তাঁর গুরুর কাছ থেকে ধর্মবিনয় শিক্ষা লাভ করেন।

তাঁর পালি ভাষার প্রতি গভীর আগ্রহ ও দক্ষতা তাঁকে আরও উচ্চতর শিক্ষার দিকে ধাবিত করে। ১৯২১ সালে তিনি বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির মহোদয়ের নিকট গমন করেন, যিনি পালি ভাষার একজন বিশিষ্ট আচার্য ছিলেন। ১৯২২ সালে তিনি উপসম্পদা লাভ করেন।

শ্রীলঙ্কায় শিক্ষা ও স্বর্ণপদক প্রাপ্তি

পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবিরের ধর্ম ও দর্শনের প্রতি আগ্রহ তাঁকে আরও উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯২৮ সালে শ্রীলঙ্কায় গমণ করেন। সেখানে পাঁচ বছর অতিবাহিত করে তিনি বৌদ্ধ দর্শন, সাহিত্য ও বিনয়ে গভীরতা অর্জন করেন। ১৯৩২ সালে তিনি স্বদেশে ফিরে আসেন।

- Advertisement -

১৯৩৪ সালে বঙ্গীয় সংস্কৃত পরিষদ কর্তৃক গৃহীত পালি অভিধর্ম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। এই সম্মাননা তাঁর প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের প্রতি সমাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। যদিও কলকাতার ধর্মাঙ্কুর বিহারে ভিক্ষু সংকট দেখা দিলে ড. বেণীমাধব বড়ুয়া তাঁকে সেখানে যোগদানের জন্য অনুরোধ করেন, কিন্তু মহাস্থবির তাঁর দায়িত্ববোধ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে জড়িত থাকার কারণে সেই অনুরোধ পূরণ করতে পারেননি।

যুদ্ধ-পরবর্তী মানবসেবা

১৯৪০ সালে তাঁর সার্বিক প্রচেষ্টায় “সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা” গঠিত হয়, যা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে ধর্মীয় ঐক্য ও সংঘবদ্ধতার লক্ষ্যে কাজ করে। এই মহাসভার প্রথম সম্পাদক হিসাবে পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির মনোনীত হন। তাঁর নেতৃত্বে মহাসভা বৌদ্ধ ধর্মের পুনরুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ১৯৪৫ সালে, তিনি অগ্গ মহাপণ্ডিত প্রজ্ঞালোক মহাস্থবিরের নেতৃত্বে তেকোটা গ্রামে ‘সেবা সদন’ নামে একটি মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এটি যুদ্ধের পরবর্তী দুঃসময়ে মানুষের সাহায্য ও পুনর্বাসনের জন্য নিবেদিত ছিল।

সাহিত্য ও অনুবাদ কর্মে অবদান

পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির ছিলেন বাংলা ভাষার একজন বিশিষ্ট অনুবাদক। তিনি পালি সাহিত্যকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে ধর্ম ও দর্শনের জ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর প্রথম অনুবাদগ্রন্থ ছিল ধর্মপদ (১৯৫৪), যা বৌদ্ধ ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগ্রন্থ। পরবর্তীতে তিনি মহাপণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন কৃত হিন্দী ভাষায় রচিত ‘বৌদ্ধ দর্শন’ এর বঙ্গানুবাদ করেন (১৯৫৬)। এছাড়াও তিনি মধ্যমনিকায়ের দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৫৯), শাসনবংশ (১৯৫৬), এবং মিলিন্দ প্রশ্নের (১৯৭৪) অনুবাদ করেন।

পণ্ডিত মহাস্থবির শুধুমাত্র অনুবাদকই ছিলেন না, তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধ ও গ্রন্থের লেখকও ছিলেন। তাঁর রচিত ‘সদ্ধর্মের পুনরুত্থান’ (১৯৬৪) এবং ‘বুদ্ধের ধর্ম ও দর্শন’ প্রভৃতি গ্রন্থ বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন ও শিক্ষা সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

তাঁর প্রবন্ধসমূহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হতো, যার মধ্যে সংঘ শক্তি (১৯৩১ সাল থেকে), জগজ্যোতি (১৯৫৯ সাল থেকে), এবং নালন্দা (১৯৬৬ সাল থেকে) উল্লেখযোগ্য। এই লেখাগুলো তাঁর বিশাল পাণ্ডিত্য ও জ্ঞানচর্চার স্বাক্ষর বহন করে।

শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান

১৯৬৫ সালে পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেন এবং বৌদ্ধ দর্শন ও পালি ভাষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৬ সালে তাঁর উদ্যোগে এবং সম্পাদনায় ‘নালন্দা’ নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু হয়, যা বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রচার ও বিকাশে একটি প্রভাবশালী মাধ্যম ছিল।

পণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির ছিলেন একজন মহান শিক্ষক, পণ্ডিত, অনুবাদক এবং সমাজসেবক। তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার, শিক্ষা, এবং মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিল। তাঁর প্রজ্ঞা, অধ্যবসায়, এবং ধৈর্যশীল কর্মপ্রবাহ বাঙালি বৌদ্ধ সমাজের নবজীবনের সূচনা করেছে।

dhammabiriya ধম্মবিরীয়
ধম্মবিরীয়

প্রকাশক ও সম্পাদক, ধম্মইনফো-ডট-কম

Subscribe to Our Newsletter

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ধম্মইনফো এর সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

এই ধম্মইনফোটি শেয়ার করুন
টুইটার ইমেইল লিং কপি করুন প্রিন্ট
পূর্বের ধম্মইনফো বাংলাদেশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি: ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট ও সহিংসতার পুনরাবৃত্তি
পরবর্তী ধম্মইনফো জাতীয় পরিচয় পত্র পাহাড়ে এনআইডি কার্ডের অকার্যকারিতা এবং সেনা শাসনের নিপীড়ন: একটি বাস্তব চিত্র
আপনার ভাবনা শেয়ার করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বাধিক পঠিত ইনফো

প্রবারণা ও ফানুস
ধর্মীয় বিষয়কে উৎসবে পরিণত করার নেতিবাচক প্রভাব: প্রবারণা পূর্ণিমা ও ফানুস উড়ানো
প্রবন্ধ
নিউইয়র্ক
নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ড: দুইজনের মৃত্যু
সংবাদ
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি: ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট ও সহিংসতার পুনরাবৃত্তি
নির্বাচিত
লুম্বিনী হাতে আঁকা ম্যাপ
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান যেভাবে খুঁজে পান এক বাঙালি
ইতিহাস ঐতিহ্য নির্বাচিত
বৌদ্ধ ভিক্ষু
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিরাপত্তা উদ্বেগ : তিন পার্বত্য জেলায় এ বছর ‘কঠিন চীবর দান’ না করার সিদ্ধান্ত
নির্বাচিত সংবাদ
হেনেপলা গুনারত্ন মহাথেরে
শ্রীলংকার গ্রাম থেকে আমেরিকার মহাঅরণ্যে: হেনেপলা গুনারত্ন মহাথেরের জীবন, দর্শন এবং অবদান
জীবনী

আরো ইনফো পড়ুন

শ্রীবিশুদ্ধানন্দ মহাথের
ইতিহাস

রক্তঝরা দিনগুলোতে: শ্রীবিশুদ্ধানন্দ মহাথের

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অবস্থা এবং ভুমিকা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন। ২৫ শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর। মুখবন্ধ গিরিরাজ হিমালয়ের হিমবাহু…

37 বার পাঠ করেছে
সংঘরাজ ধর্মাধার মহাস্থবির
জীবনী

সংঘরাজ ধর্মাধার মহাস্থবির : বিরল মনস্বিতা সম্পন্ন এক জ্ঞানবিটপী

উপমহাদেশের প্রখ্যাত বৌদ্ধ মনীষা, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক, ভারতীয় প্রথম সংঘরাজ অগ্রমহাপণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির। এই জ্ঞানতাপস চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলাধীন…

6 বার পাঠ করেছে
স্বাধীনতা সংগ্রামে বৌদ্ধ
গবেষণা

স্বাধীনতা সংগ্রামে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অবদান : একটি সমীক্ষা

লেখক বড়ুয়া জয়ের এই প্রবন্ধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অনন্য ভূমিকা ও অবদান বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রবন্ধটি মুক্তিযুদ্ধের…

1 বার পাঠ করেছে
মুক্তি যুদ্ধে বৌদ্ধদের অবদান
ইতিহাসনির্বাচিত

মুক্তি যুদ্ধে বৌদ্ধদের অবদান

রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের সাথের এদেশের বৌদ্ধরাও জড়িত। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোরনের কর্ম ধারাকে অব্যাহত রেখে  রাঙালি বৌদ্ধসম্প্রদায় পাক…

9 বার পাঠ করেছে
Logo dark logo

আমাদের ইনফো

  • ধম্মইনফো সর্ম্পকে
  • যোগাযোগ
  • উপদেষ্টা
  • অর্থায়ন
  • ইনফো প্রেরণ করুন

গৌতম বুদ্ধের জীবনী

  • জন্ম
  • শৈশব কাল
  • বিবাহ
  • গৃহ ত্যাগ
  • বুদ্ধত্ব লাভ
  • ধর্ম প্রচার
  • মহাপরিনির্বাণ

বিশ্ব বৌদ্ধ ইনফো

  • এশিয়া
  • ইউরোপ
  • আফ্রিকা
  • উত্তর আমেরিকা
  • দক্ষিণ আমেরিকা

স্বদেশ ইনফো

  • জীবনী
  • ইতিহাস
  • সাহিত্য
  • ঐতিহ্য
  • সংস্কৃতি

আরো ইনফো

  • সম্পাদকীয়
  • গবেষণা
  • নির্বাচিত
  • সংবাদ

মিডিয়া ইনফো

  • ইউটিউব
  • ফেইসবুক
  • ইনস্টাগ্রাম
  • টুইটার

স্বত্ব © ২০১১-২০২৪ ধম্মইনফো সম্পাদক ও প্রকাশক: ধম্মবিরীয় ভিক্ষু

বৌদ্ধ
ধম্মইনফো তে আপনাকে স্বাগতম!

* ধম্মইনফো তে নিয়মিত লিখে আপনিও অবদান রাখুন। * ধম্মইনফো লেখা আপনার বন্ধু/পরিচিত জনের সাথে বেশী বেশী শেয়ার করুন।

Welcome Back!

Sign in to your account

পার্সওয়ার্ড ভুলে গেছেন?