ধম্মইনফোধম্মইনফোধম্মইনফো
Font ResizerAa
  • গৌতম বুদ্ধের জীবনী
  • সর্দ্ধম নীতি ও শিক্ষা
  • ইতিহাস
  • সংস্কৃতি
  • সাহিত্য
  • জীবনী
  • প্রবন্ধ
  • সংবাদ
আপনি অধ্যায়ন করছেন: অসীম কর্মের কল্পতরু সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী: শতবর্ষের ভাবনা
Share
ধম্মইনফোধম্মইনফো
Font ResizerAa
Search
  • গৌতম বুদ্ধের জীবনী
  • সর্দ্ধম নীতি ও শিক্ষা
  • ইতিহাস
  • সংস্কৃতি
  • সাহিত্য
  • জীবনী
  • প্রবন্ধ
  • সংবাদ
Have an existing account? সাইন ইন
আমাদের অনুসরণ করুন
© 2022 Foxiz News Network. Ruby Design Company. All Rights Reserved.
ধম্মইনফো > Blog > জীবনী > অসীম কর্মের কল্পতরু সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী: শতবর্ষের ভাবনা
জীবনী

অসীম কর্মের কল্পতরু সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী: শতবর্ষের ভাবনা

জনি বড়ুয়া
সর্বশেষ আপডেট: November 17, 2024 4:14 pm
জনি বড়ুয়া
Share
SHARE

উপমহাদেশের প্রবীণতম বৌদ্ধ মনীষা ড.জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের কর্মজীবন বৈচিত্র ও ধীমান সাফল্যের প্রতিকৃৎ। শীল-বিনয়-সমাজ ও আত্মগঠনে মহীয়ান এই পুণ্যপুরুষের মহাজীবন শতবর্ষের উত্তীর্ণ হলো। সসীম আয়ুরেখার অন্তিম যাপনেও তিনি পরব্রত ও বুদ্ধশাসনের পরম হিতৈষণায় উদাত্ত। দুই শতাব্দীর উত্তান-পতনের সারগর্ভধারী এই দীপ্তমানের পরম জীবনের অভ্যুদয় ঘটে মহাগুরু উপসংঘরাজ পন্ডিত গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের ¯স্নেহস্পদে। পাহাড় ও সমতলের বৌদ্ধ প্রজন্ম বিনির্মাণে তাঁর যুগান্তকারী অবদান হলো বেশ কিছু অনাথ আশ্রম গঠনের মাধ্যমে প্রজন্মের বুকে আদর্শ জীবনের দীপ্ত শ্লোগান সঞ্চার করা। এছাড়াও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার দিকপালের আসন অংকৃত করে বর্তমানে তিনি বঙ্গীয় বৌদ্ধ সমাজের সর্বোচ্চ প্রবীণ ও প্রাজ্ঞ ভিক্ষু। রোগশয্যার দৃশ্যতাকে উপেক্ষা করে যুগনায়কের শতবর্ষে পদার্পণকে কুর্ণিশ জানাই অতল শ্রদ্ধায়। কবি গুরু যেমন বলেছেন-

Contents
জন্ম ও জনপদ:ব্রহ্মচর্যের উন্মেষ ও মহাজীবনের রেখাপাত: ধর্মাভিযান:বঙ্গের বুকে ধীমান কমযোগী সংঘরাজ:সৃজনে মহাপ্রত্যয়ী সংঘরাজ:প্রাপ্তির সিংহাসন:সহায়ক গ্রন্থাবলী:

সমাজ সংসার মিছে সব

মিছে এ জীবনের কলরব।

কেবল আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে

হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব-

আঁধারে মিশে গেছে আর সব ।।

জন্ম ও জনপদ:

চট্টগ্রামের হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্যের ধারক বীরপ্রসবিনী রাউজান উপজেলা। রওজোয়াং শব্দজাত রাউজানের দ্বিমেরুতেই রয়েছে শত-শত বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য। উত্তরের হলুদিয়ার পুণ্যশ্লোক পট্ঠানপারগু লোকানন্দ মহাস্থবির, গহিরার পন্ডিত রামমনি মহাস্থবির ও তদীয় পুত্রপ্রতীম শিষ্য চতুর্থ সংঘরাজ বরজ্ঞান মহাস্থবির, বিনাজুরীরর জন্মজাত সীংহল থেকে প্রজ্ঞাসার উপাধিতে ভূষিত সংঘনায়ক ক্ষেত্রমোহন মহাস্থবির, পন্ডিত ধর্মকথিক গিরিশ্চন্দ্র মহাস্থবির, রাউজান গ্রামজাত মেথী মহাস্থবির, হরিচাঁদ মহাস্থবির, আবুরখীল জন্মজাত পন্ডিত চন্ডীচরণ মহাস্থবির, রাজগুরু মাণিক্য মহাস্থবির, পাঁচখাইন জন্মজাত  সংঘনায়ক পন্ডিত অমরচাঁদ মহাস্থবির, বাগোয়ান জন্মজাত ক্ষণজন্মা কবি জ্যোতিঃপাল স্থবির, থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম চর্চার পীঠস্থান মহামুনি পাহাড়তলী জন্মজাত সংঘনায়ক চাইঙ্গা মহাস্থবির, তৃতীয় সংঘরাজ জ্ঞানলঙ্কার লালমোহন মহাস্থবির প্রমুখ প্রাচীন স্থবির-মহাস্থবিরের ধ্বজাধারী মহামান্য ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড.জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের জন্মজনপদ এই উপজেলাধীন উত্তরগুজরা ডোমখালী গ্রামে।

এই গ্রামের জন্মজাত পুণ্যপুরুষ সুখচাঁদ মহাস্থবির, নবচাঁদ মহাস্থবির, নিরবসাধক ধুতাঙ্গসাধক ভদন্ত সুমঙ্গল মহাস্থবির , সাহিত্যিক ও সংগঠক শাক্যবোধি মহাস্থবিরের স্মৃতিধন্য এই গ্রামে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ নভেম্বর পিতা বৃট্রিশ পুলিশে কর্মরত প্রেমলাল বড়ুয়া ও মাতা মেনকা রাণী বড়ুয়া গৃহাভ্যন্তরে আবির্ভূত হয় এই পুণ্য পুরুষ। পিতামাতা এই অনাগত লোকনাথপুত্রের নামকরণ করেন শ্রীমান লোকনাথ বড়ুয়া। গ্রামের আবহমান ধর্মীয় আবহে অতিক্রান্ত হয় তাঁর শৈশব। কিন্তু জীবনের ঊষাকালেই তিনি মাতৃহারা হয়ে অনুভব করেন জাগতিক নিষ্ঠুরতা।

ব্রহ্মচর্যের উন্মেষ ও মহাজীবনের রেখাপাত: 

১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে শ্রামণ সারানন্দের মাধ্যমে বালক লোকনাথ সমর্পিত হন উপসংঘরাজ গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের নিকট। অবশ্য আচার্য শান্তরক্ষিত মহাস্থবিরের ¯স্নেহহছায়াও তাঁর ব্রহ্মচর্যের গৌরচন্দ্রিকায় ভূমিকা রাখে। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজানগর শাক্যমুনি সীমায় উপসংঘরাজ গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের শিষ্যত্ব গ্রহণের মাধ্যমে লাভ করেন পরম জীবনের স্পন্দন।  উপাধ্যায় হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ষষ্ঠ সংঘরাজ পন্ডিত ধর্মানন্দ মহাস্থবির। সীমাগৃহে গণপরিপূরক হিসেবে ছিলেন সাধকপ্রবর জ্ঞানীশ্বর মহাস্থবির, পন্ডিত বংশদীপ মহাস্থবির, পন্ডিত বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাস্থবির, রাজগুরু ধর্মরত্ন মহাস্থবির প্রমুখ প্রাচীন ভিক্ষুসংঘ।

- Advertisement -

ধর্মাভিযান:

বৌদ্ধ সমাজে মুষ্টিভিক্ষার প্রচলনে অগ্রগামী ছিলেন তরুণ ভিক্ষু জ্ঞানশ্রী। শ্রামণ্য জীবন থেকেই তিনি অবস্থান করেছিলেন মির্জাপুর শান্তিধাম বিহারে। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৫৫ খ্রি. পর্যন্ত সমাজ ও সদ্ধর্ম সংস্কারে নিবেশী ছিলেন এই বিহারে। সময়ের প্রয়োজনে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে চলে আসেন রাউজান বিমলানন্দ বিহারে এবং সদ্ধর্মের প্রতিযোগীতার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন জাতক পরিষদ। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত উক্ত বিহারসহ সন্নিকটের কয়েকটি বিহার পরিচালনার দায়িত্বও তিনি পালন  করেন একা হাতে। পৌরহিত্যের পরিমিতিবোধকে হৃদয়ে ধারণ করে নব অভিযানে গমনে প্রত্যয়ী হন। গুরুদেব যেমন দিগি¦দিক ঘুরে ঘুরে সমাজ সংস্কারে নিয়োজিত ছিলেন তেমনি তিনিও গ্রাম্য পৌরহিত্য ত্যাগ করে চলে যান অরণ্যের পথে। পিছিয়ে পড়া বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর পরিত্রাণকর্তা হিসেবে। ১৯৬০ পর্যন্ত মুবাইছড়িতে অবস্থান করে পরিবর্তন করেছিলেন তাদের জীবনমানের। সে বছরই গমন করেন বোয়ালখালীর মায়ানী দশবল রাজবিহারে। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন বৌদ্ধ অনাথ আশ্রম। আশ্রম কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থারও প্রচলনের মাধ্যমে শিক্ষার আলো প্রজ্জ্বলিত করেন। সেখানে স্থবির জ্ঞানশ্রী মহোদয়ের কর্মযজ্ঞের বিপরীতে ক্ষমতার মোহে তৎপরতা শুরু হলে চিরন্তন ক্ষান্তিবাদী স্থবির মহোদয় ত্যাগ করেন মায়ানী দশবল রাজ বিহার। সেখান তেকে তেবাং ছড়ায়ও অবস্থান করেন তিনি। মূলত পাহাড়ে যাবার অন্যতম কারণ হলো খিষ্টান মিশনারীদের ধর্মান্তরকরণের বিপরীতে বুদ্ধের অমৃতসুধা ও জ্ঞানালোক প্রজ্জ্বলন।

নিরবধি কর্মপ্রিয় স্থবির জ্ঞানশ্রী ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে স্বপ্ন দেখতে থাকেন সংঘের আত্মগঠনের । সেই কল্পে কদলপুরে অবস্থান করতে থাকেন তিনি। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে থেরবাদ আদর্শের পীঠস্থান মহানন্দ সংঘরাজ বিহারে, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডলের কারক সভায় মনোনীত হন উক্ত সংগঠনের মহাসচিব। তাঁর বিপুল নেতৃত্বে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদ। প্রভাতী ধর্মীয় শিক্ষার প্রচলন তথা ধর্মায়তনও এই পরিষদ ও মহাস্থবির জ্ঞানশ্রী’র অনন্য কীর্তি। মহাস্থবির প্রজ্ঞাবংশ মহাথের’র স্বাপ্নিক কদলপুর ভিক্ষু ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠায়ও বিহারাধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর অবদান ছিল উদ্ধৃতযোগ্য। পরবর্তী সময়ে সুড়ঙ্গা বিহার, জোবরা সুগত বিহার, মির্জাপুর গৌতমাশ্রমে অবস্থান করেন। জোবরা গুণালঙ্কার বৌদ্ধ অনাশ্রম, বিনাজুরী শ্মশান বিহারস্থ অনাথাশ্রম প্রতিষ্ঠার কৃতীত্বও মহাস্থবির জ্ঞানশ্রী মহোদয়ের। এছাড়াও চট্টগ্রাম নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষপদ গ্রহণসহ বিবিধ বিহারে অবস্থান করে বর্তমানে জন্মজনপদ ডোমখালীস্থ পরিনির্বাণ বিহারে অবস্থান করছেন।

বঙ্গের বুকে ধীমান কমযোগী সংঘরাজ:

বৌদ্ধধর্মের শেষ আশ্রয়স্থল চট্টলা। ফলে পুনর্জাগরণও শুরু হয় এই অঞ্চল থেকে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে বঙ্গের বুকে বসবাসরত অপরাপর বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মাভিযান ছিল সময়ের মুমুক্ষা। এই আহ্বানে আন্দোলিত হয়ে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে কমর্যোগী সংঘরাজ গমন করে রাজধানী ঢাকায়। মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠার মহাযজ্ঞে প্রয়োজন হয়েছিল এই কর্মমান ধীমানের। স্থাবর তীর্থ নির্মাণে বুদ্ধপুত্র জ্ঞানশ্রী মহোদয়ও যাঞ্ছা করতে থাকলেন বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর শ্রদ্ধার্ঘ্য স্বরূপ অর্থ-কড়ি। কিন্তু চিত্তে যার উদ্ধারের দিব্যমূর্তি তাঁর স্থবিরতা বড়ই বেমানান। ১৯৯১ খ্রি. থেকে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বহুমাত্রিক উদ্দেশ্যে রুপকারক ছুটতে থাকেন উত্তরবঙ্গের বৌদ্ধদের পানে।  রংপুরের মিঠাপুকুর বেনুবন বিহারে উপনীত হয় চট্টলের ধর্মসংস্কারক সত্তুর ছুঁই ছুঁই এক প্রবীণ বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ক্রমে সূর্যপুরে জ্ঞানশ্রী বিহার ও জয়পুরেও একই নামে গড়ে উঠে বৌদ্ধ বিহার। সেখানকার আদিবাসী বৌদ্ধরাও মোহিত হয়ে বহুযুগ পরে এক প্রবীণ বুদ্ধপুত্রের কাছে শুনলেন বুদ্ধের অপরাজয়ে শান্তি-সৌম্যের আহ্বান..

সৃজনে মহাপ্রত্যয়ী সংঘরাজ:

অনাথ আশ্রমের পাশাপাশি তিনি যৌবনের ঊষাকাল থেকে অধ্যাবধি যে সকল প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তার সংক্ষিপ্ত খতিয়ান হলো- জ্ঞানোদয় পালি টোল (১৯৫৭ খ্রি.), ধর্মোদয় পালি টোল (১৯৬১ খ্রি. ), শতাব্দীর সূর্য সংঘরাজ শীলালঙ্কার মহাস্থবিরের সহযোগে ত্রিপিটক প্রচার বোর্ড (১৯৬৪ খ্রি. ), মোন-ঘর অনাথালয় ( ১৯৭৪ খ্রি.), কদলপুর অনাথালয় ( ১৯৮৩ খ্রি.), জ্ঞানশ্রী শিশু সদন ( ১৯৮৯খ্রি. ), পশ্চিম বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয় ( ১৯৯৩ খ্রি.), ধর্মকথিক অনাথালয় (১৯৯৪ খ্রি.), গুইমারা ড.জ্ঞানশ্রী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ( ২০০৯খ্রি.), শিশু নিকেতন  (২০০৬ খ্রি.), ড.জ্ঞানশ্রী নৃ-তাত্ত্বিক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (২০১১ খ্রি.), বাংলাদেশ বুদ্ধ শাসন কল্যাণ ট্রাস্ট ( ২০১৪ খ্রি.) উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বর্তমান উপসংঘরাজ ভদন্ত প্রিয়দর্শী মহাথেরসহ ষাটোর্ধ্ব শিষ্যের মহান গুরু তিনি।

সাহিত্য সাধনা: তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ত্রৈমাসিক ধর্মায়তন ( ১৯৭৭ খ্রি. ) । ধর্মায়তন সাহিত্য সাধনার অনন্য পথিকৃৎ যা বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডলে মুখপত্র। বৌদ্ধ নীতিমঞ্জুরী গ্রন্থ ( ২০০০ খ্রি., যৌথ ) উল্লেখযোগ্য।

প্রাপ্তির সিংহাসন:

স্বদেশ-বিদেশ থেকে সংঘরাজ মহোদয় লাভ করেন বহু পদক-উপাধি। তৎমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শাসন শোভণ জ্ঞানভাণক ( থাইল্যান্ড প্রদত্ত ), মহাসদ্ধর্ম জ্যোতিকাধ্বজ ও অগ্গমহাপন্ডিত ( মিয়ানমার ), বিশুদ্ধানন্দ স্বর্ণপদক ( বা.বৌ.কৃ. প্রচার সংঘ ), বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সর্বোচ্চ পদ- সংঘরাজ ( ত্রয়োদশ তম ), ধর্মভান্ডারিক ও বিনয়াচার্য ( বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা ), সম্মানসূচক ডি.লিট ( মহাচুলারং বিশ্ববিদ্যালয় ), একুশে পদক ( গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ) উল্লেখযোগ্য।

শতবর্ষের ভাবনা: অঙ্গুত্তর নিকায় অনুসারে-

জীরন্তি বে রাজরথা সুচিত্তা

অথো সরীরম্পি জরং উপেতি।

সতঞ্চ ধম্মো ন জরং উপেতি,

সন্তো হবে সব্ভি পবেদযন্তী’তি ।।

অর্থাৎ বিচিত্র রাজপথ জীর্ণতাপ্রাপ্ত হয়, তেমনি দেহও জরা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু সৎপুরুষগণের ধর্মকে জরা স্পর্শ করে না। সৎপুরুষগণও পরস্পর তা বলেন। পুরুষোত্তম সংঘরাজের দেহ জরাক্রান্ত, ব্যাধির নির্বিকল্প আগমনী বার্তাও সন্নিকটে কিন্তু আমাদের জন্য রেখে যাওয়া আত্মত্যাগ ও সমাজ গঠনের উপকরণের নিমগ্ন পুরুষ হিসেবে সমাজ-বাসীয় দায়িত্বের জায়গায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নই। তাঁর দীর্ঘ জীবনকে আনন্দায়ুর দিকে প্রবাহিত করার দায়িত্বে আমাদের উদাসীনতা বেশ হতাশাব্যঞ্জক। সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে উঠা এই ধীমান কর্মযোগী’র জীবন শত’পর দশক অতিক্রম করুক আনন্দ-আয়ুর প্রবাহে- এই হোক শতবর্ষের প্রত্যাশা।

সহায়ক গ্রন্থাবলী:

  • ১. জ্ঞানভাণক- ধর্মপাল বড়ুয়া।
  • ২. শাসন পথিকৃৎ জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির-  প্রশান্ত কুমার বড়ুয়অ।
  • ৩. সদ্ধর্মজ্যোতি জ্ঞানশ্রী- প্রাগুক্ত।
  • ৪. বুদ্ধাঙ্কুর জ্ঞানশ্রী- শ্রীমাণ বড়ুয়া।
  • ৫. বার্মায় প্রেরিত জীবন-বৃত্তান্ত-২০২৩খ্রি.।
  • ৬. একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রকাশিত স্মরণিকা-২২ খ্রি.।

জনি বড়ুয়া
জনি বড়ুয়া

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি বিভাগের অধ্যায়নরত জনি বড়ুয়ার জন্ম চট্টগ্রাম রাউজান থানার পূর্ব আধারমানিক গ্রামে। স্কুল জীবনেই তাঁর লেখালিখির হাতেখড়ি। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় যৌথ কাব্যগ্রস্থ ‘দ্যুতির বিচ্ছুরণ’। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্র-পত্রিকায় জনি বড়ুয়ার বহু কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

Subscribe to Our Newsletter

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ধম্মইনফো এর সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

এই ধম্মইনফোটি শেয়ার করুন
টুইটার ইমেইল লিং কপি করুন প্রিন্ট
পূর্বের ধম্মইনফো পাল রাজাদের ভূমিকা বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারে পাল রাজাদের ভূমিকা
পরবর্তী ধম্মইনফো ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির জন্মশতবর্ষে জানাই প্রণাম : সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের
আপনার ভাবনা শেয়ার করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বাধিক পঠিত ইনফো

প্রবারণা ও ফানুস
ধর্মীয় বিষয়কে উৎসবে পরিণত করার নেতিবাচক প্রভাব: প্রবারণা পূর্ণিমা ও ফানুস উড়ানো
প্রবন্ধ
নিউইয়র্ক
নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ড: দুইজনের মৃত্যু
সংবাদ
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি: ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট ও সহিংসতার পুনরাবৃত্তি
নির্বাচিত
লুম্বিনী হাতে আঁকা ম্যাপ
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান যেভাবে খুঁজে পান এক বাঙালি
ইতিহাস ঐতিহ্য নির্বাচিত
বৌদ্ধ ভিক্ষু
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিরাপত্তা উদ্বেগ : তিন পার্বত্য জেলায় এ বছর ‘কঠিন চীবর দান’ না করার সিদ্ধান্ত
নির্বাচিত সংবাদ
হেনেপলা গুনারত্ন মহাথেরে
শ্রীলংকার গ্রাম থেকে আমেরিকার মহাঅরণ্যে: হেনেপলা গুনারত্ন মহাথেরের জীবন, দর্শন এবং অবদান
জীবনী

আরো ইনফো পড়ুন

শ্রীবিশুদ্ধানন্দ মহাথের
ইতিহাস

রক্তঝরা দিনগুলোতে: শ্রীবিশুদ্ধানন্দ মহাথের

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অবস্থা এবং ভুমিকা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন। ২৫ শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর। মুখবন্ধ গিরিরাজ হিমালয়ের হিমবাহু…

37 বার পাঠ করেছে
সংঘরাজ ধর্মাধার মহাস্থবির
জীবনী

সংঘরাজ ধর্মাধার মহাস্থবির : বিরল মনস্বিতা সম্পন্ন এক জ্ঞানবিটপী

উপমহাদেশের প্রখ্যাত বৌদ্ধ মনীষা, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক, ভারতীয় প্রথম সংঘরাজ অগ্রমহাপণ্ডিত ধর্মাধার মহাস্থবির। এই জ্ঞানতাপস চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলাধীন…

6 বার পাঠ করেছে
স্বাধীনতা সংগ্রামে বৌদ্ধ
গবেষণা

স্বাধীনতা সংগ্রামে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অবদান : একটি সমীক্ষা

লেখক বড়ুয়া জয়ের এই প্রবন্ধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অনন্য ভূমিকা ও অবদান বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রবন্ধটি মুক্তিযুদ্ধের…

1 বার পাঠ করেছে
মুক্তি যুদ্ধে বৌদ্ধদের অবদান
ইতিহাসনির্বাচিত

মুক্তি যুদ্ধে বৌদ্ধদের অবদান

রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের সাথের এদেশের বৌদ্ধরাও জড়িত। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোরনের কর্ম ধারাকে অব্যাহত রেখে  রাঙালি বৌদ্ধসম্প্রদায় পাক…

9 বার পাঠ করেছে
Logo dark logo

আমাদের ইনফো

  • ধম্মইনফো সর্ম্পকে
  • যোগাযোগ
  • উপদেষ্টা
  • অর্থায়ন
  • ইনফো প্রেরণ করুন

গৌতম বুদ্ধের জীবনী

  • জন্ম
  • শৈশব কাল
  • বিবাহ
  • গৃহ ত্যাগ
  • বুদ্ধত্ব লাভ
  • ধর্ম প্রচার
  • মহাপরিনির্বাণ

বিশ্ব বৌদ্ধ ইনফো

  • এশিয়া
  • ইউরোপ
  • আফ্রিকা
  • উত্তর আমেরিকা
  • দক্ষিণ আমেরিকা

স্বদেশ ইনফো

  • জীবনী
  • ইতিহাস
  • সাহিত্য
  • ঐতিহ্য
  • সংস্কৃতি

আরো ইনফো

  • সম্পাদকীয়
  • গবেষণা
  • নির্বাচিত
  • সংবাদ

মিডিয়া ইনফো

  • ইউটিউব
  • ফেইসবুক
  • ইনস্টাগ্রাম
  • টুইটার

স্বত্ব © ২০১১-২০২৪ ধম্মইনফো সম্পাদক ও প্রকাশক: ধম্মবিরীয় ভিক্ষু

বৌদ্ধ
ধম্মইনফো তে আপনাকে স্বাগতম!

* ধম্মইনফো তে নিয়মিত লিখে আপনিও অবদান রাখুন। * ধম্মইনফো লেখা আপনার বন্ধু/পরিচিত জনের সাথে বেশী বেশী শেয়ার করুন।

Welcome Back!

Sign in to your account

পার্সওয়ার্ড ভুলে গেছেন?